1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
আগামীকাল বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর শাহাদাৎ বার্ষিকী
সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০১:১৬ অপরাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

আগামীকাল বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর শাহাদাৎ বার্ষিকী

  • Update Time : বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩৯ জন পঠিত
আগামীকাল বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর শাহাদাৎ বার্ষিকী
আগামীকাল বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর শাহাদাৎ বার্ষিকী

মধুখালী সংবাদদাতা : আগামীকাল ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ এর ৫২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ২০ এপ্রিল এই দিনে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদের সাথে সম্মুখ সমরে তিনি সাবেক পাবর্ত্য চট্রগ্রাম বর্তমান রাংগামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার বুড়িঘাট নামক স্থানে শহীদ হন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৫২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজ সকাল ৬টা থেকে কোরআন খতম এবং পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

বীরশ্রেষ্ঠ‘র বড় বোন জোহরা বেগম জানান, বীরমাতা মুকিদুননেছা মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা সালামাতপুরে (বর্তমান রউফ নগরে) আলোচনা ও দোয়া এবং মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হতো। এ বছর আমরা তেমন কোন আয়োজন করি নাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী জানান, এটা তাদের পারিবারিক বিষয়, তবে আমাদের কাছে আসলে আমরা উপজেলা প্রশাসনের থেকে সহযোগিতা করবো। পিতা মুন্সী মেহেদী হাসান মাতা মকিদুননেছার একমাত্র পুত্র সন্তান মুন্সী আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের ১লা মে বর্তমান মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের রউফ নগর (সালামাতপুর) গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

১১ বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। এর পর আর্থিক অনটনের কারণে লেখাপড়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি তৎকালীন ইপিআর এ ১৯৬৩ সালের ৮ মে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ১৩১৮৭। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙ্গামাটির মহালছড়ি নৌপথ অঞ্চলে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। ‘৭১ এর ২০ এপ্রিল পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মুন্সী আব্দুর রউফের মেশিন গানের গুলিতে পাকবাহিনীর ২টি লঞ্চ, একটি স্প্রীডবোড ডুবে পাকবাহিনীর দুই প্লাটুন সৈন্যের সলিল সমাধি ঘটে।

এ সময় হঠাৎ প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত মটার সেলের আঘাতে তিনি শহীদ হন। ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ শহীদ হবার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃঞ্চ চাকমার সহায়তায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর কবরের স্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হন। ১৯৯৭ সালে সেখানে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়। বিগত ২০০৮ সালে ২৮ মে তার নিজ গ্রাম সালামাতপুরের নাম রউফ নগর রাখা হয়। ওই বছরেই তাঁর নামে নিজ গ্রাম রউফ নগরে স্থানীয় সরকার সমবায় মন্ত্রনালয় ফরিদপুর জেলা পরিষদের তত্ত¡াবধানে প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর ও গ্রন্থগার নির্মাণ করা হয়েছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ন কৃতিত্তের জন্য সরকার তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধীতে ভূষিত করেন। এছাড়া তার নামে এলাকায় কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজকে প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারি করণ করেছেন। গন্ধখালী বীরশ্রেষ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়, সাভারে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গেট, ঢাকায় বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ রাইফেলস স্কুল এন্ড কলেজ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION