সবুজ দাস, ফরিদপুর : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সালাম ফকির নামে এক ব্যক্তি নিজের লিজকৃত সম্পত্তি দাবি করে প্রতিবেশি চান্দু শেখ গংদের বিরুদ্ধে একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা করেই যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ১নং চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সালেপুর গ্রামে। এ বিষয়ে চান্দু শেখ এর পুত্র রাজ্জাক শেখ অভিযোগ করে জানান, অভিযুক্ত সালাম ফকির নদী ভাঙ্গনের কবলে পরলে তার প্রতি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে আমাদের পূর্ব রেকর্ডীয় সম্পতিতে ঘর বানিয়ে থাকতে দেই।
তবে চরের জমি বেশ কয়েকবছর পানিতে ডুবে থাকায় আমরা খাজনা দিতে ব্যর্থ হলে সালাম ফকির ২০১৫ সালে আমাদের সাথে প্রতারনা করে ১ একর সম্পত্তি লিজ নিয়ে ঐ জমি দখল করার চেষ্টা করে। তবে সালাম ফকিরকে আমরা যে যায়গায় ঘর করে থাকতে দিয়েছি, ঐ যায়গায় বর্তমানে তিনি বসবাস করছেন। এ ছাড়া আমাদের পুর্বের চাষ করা কৃষি জমিতে এ বছর ভুট্রা লাগালে বর্তমানে ঐ জমি সালাম ফকির লিজ নিয়েছেন বলে দাবি করছে। যা বন্দোবস্ত জমি দলিলমূলে বিএস ৬৩৬, ৬৩৭ দাগে ১০ একর ৫৫ শতাংশ জমি পৈতৃক সূত্রে আমার পিতা শেখ চান্দু প্রাপ্ত হইয়া ভোগদখল করিতেছেন।
তবে সালাম ফকির চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সালেপুুর গ্রামের ১৬নং সালেপুর মৌজার ১নং খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ১.০০ একর জমি সরকার কর্তৃক ভূমিহীন হিসাবে বন্দোবস্ত নেয় ২০১৫ সনে। যার বন্দোবস্ত মামলা নম্বর :-Xll- F-146/15-16, Xll-cv-120/15-16। এর পর থেকেই আমাদের পরিবারকে ঘায়েল করতে ফৌজদারী, চাঁদাবাজীসহ একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা দিয়েই যাচ্ছে। এমনকি জমি হাতিয়ে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকিসহ এ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৩টি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালাম ফকির ঐ জমি তার লিজকৃত দাবি করে জানান, ২০১৫ সনে সরকারি নিয়ম মেনেই এই জমি লিজ নিয়েছি। রাজ্জাক গংরা আমার লিজকৃত জমি জোর দখল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন এর আগে রাজ্জাক গংরা আমাকে কোন ঘর তৈরি করে দেয় নাই। আমি যখন এখানে আসি, সে সময়ে এই যায়গায় ছোনের বাতা ছিলো, যাহা আমি পরিষ্কার করে বসবাসের উপযোগী করেছি। তিনি আরো বলেন রাজ্জাক আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করায় তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবজি মামলা করেছি। তবে এ ঘটনা এলাকার চেয়ারম্যান বা স্থানীয় কাউকেই অবগত না করে আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছি।
এ বিষয়ে চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন, উক্ত জমি সংক্রান্ত্রের জের ধরে সালাম ফকির উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে শুনেছি। তবে চাঁদাবাজি বা অন্যান্য মামলার বিষয়ে তাকে কেউ অবগত করেননি বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ভাবে প্রকৃত জমির মালিকই ভোগ দখল করবেন বলে প্রত্যাশা করেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply