নিরঞ্জন মিত্র (নিরু), ফরিদপুর : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর আওতায় ফরিদপুরের মধুখালীতে বারি খেসারী-২ এর উৎপাদন কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের সহযোগিতায় গত (৫ মার্চ) রবিবার উপজেলার ছকরি কান্দি গ্রামে বারি খেসারী-২ এর উৎপাদন কার্যক্রমের উপর এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় কৃষক মোঃ আজজিুল শেখ এর সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর সরজেমনি গবষেণা বভিাগ (বারি) এর অঞ্চল প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মদে।
প্রধান অতিথি তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশে ডাল ফসলের মধ্যে চাষযোগ্য এলাকা ও মোট উৎপাদনের দিক থেকে খেসারীর স্থান প্রথম। চাষ যোগ্য মোট জমি প্রায় ২,৭৮৩ লক্ষ হেক্টর এবং উৎপাদন প্রায় ৩,৫২৯ লক্ষ হেক্টর মে. টন। খেসারী একক ফসল হিসেবে চাষের পাশাপাশি রিলে বা সাথী ফসল হিসেবে সহজেই চাষাবাদ করা যায়। উৎপাদিত অধিকাংই ডাল হিসেবে এবং এর খড় ভুসি গবাদি পশুর খাবার হিসেবে অত্যন্ত উৎকৃষ্ট। সবাইকে নতুন প্রযুক্তি গ্রহন করে খেসারী তথা ডাল ফসলের উৎপাদনকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করেন। ফরিদপুর সরজেমনি গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারী মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলিনে মধুখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা কৃষিবিদ আলভীর রহমান।
মাঠ দিবসে ৬০ জন কৃষক কিষানী অংশগ্রহন করেন। আমন্ত্রিত অতিথিসহ কৃষকবৃন্দ বারি উদ্ভাবিত বারি খেসারী-২ এর মাঠ পরিদর্শণ করেন। কৃষকেরা সাধারণত স্থানীয় জাতের খেসারী আবাদ করে থাকে যার ফলন কম এবং রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমনের পরিমাণ বেশী। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি খেসারী-২ জাতটির ফলন শতকে প্রায় ৮ কেজি যা আবাদে দেশে ডালের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। তাই কৃষকরা প্রচলিত জাতের পরিবর্তে বারি উদ্ভাবিত বারি খেসারী-২ কে গ্রহন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply