স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফকির মো. মেহেদী হাসান মিন্টু। মিন্টু ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় পাঁচ বছর ধরে পদ্মা নদীর চর বেস্টিত ইউনিয়নটিতে গণমানুষের সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন নিজেকে।
স্থানীয়দের দাবী, বিগত দিনে যারা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আর যোগাযোগ রাখতেন না খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলোর সাথে। নাগরিক সুবিধা পেতেও তাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হতো। কিন্তু মেহেদী হাসান মিন্টু বিজয়ী হওয়ার পর থেকে পাল্টে যায় চিত্র। নিশ্চিত হয় ডিক্রিরচরবাসীর নাগরিক অধিকার।
তাদের দাবী, মিন্টু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সবসময়ই সাধারণ নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন। গত পাঁচ বছরেই ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে চরাঞ্চলে। অন্ধকারাচ্ছন্ন চরে পৌছে গেছে বিদ্যুত। স্থাপিত হয়েছে স্কুলও। চরের বালু মাটিতে তৈরি হয়েছে ইটের সড়ক। আর এসব সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় চরজুড়ে গড়ে উঠছে ছোটো ছোটো খামারও। যা থেকে স্ববলম্বি হচ্ছেন স্থানীয়রা।
চরের মানুষেরা জানান, যে চরে এক সময় ঘোড়ার গাড়ী ছিলো যাতায়াতের একমাত্র বাহন, সেই চরে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় বৃষ্টি দিনেও মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য বাহনও ব্যবহার হচ্ছে যাত্রী পরিবহনে। অনেক শিক্ষার্থী এখন অনায়াসে চর থেকে এসে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহন করে বাড়ী ফিরতে পারেন নিরাপদে।
তাদেরব আরো দাবী, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে মানুষ। দুর্গম চরাঞ্চলে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুত পৌছে দেয়ায় এখন আর আগের মতো ঘটেনা চুরি ডাকাতির মতো ঘটনা। তাই নারীরাও চলাচল করতে পারেন নির্বিঘ্নে।
ডিক্রির চরের হাজারো নারী পুরুষ মনে করেন, সরকারের এসব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে যে চেয়ারম্যানের হাত ধরে, সেই মিন্টু ফকিরই যেনো তাদের আশার প্রদীপ হয়ে দাড়িয়েছেন। তাই অনেকেই মনে করেন, আগামীতেও এমন মানুষকে নির্বাচিত করে আগামী দিনেও তাদের সেবা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবার। #
Leave a Reply