মধুখালী সংবাদদাতা : মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন হাটে পেঁয়াজের ব্যাপক আমদানি হওয়ায় এবার পাইকারি ২২-২৮ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলার মধুখালী সদর সবচেয়ে বড় বাজার শুক্রবার ও সোমবার দুইদিন হাট ছাড়াও প্রতিদিন পেঁয়াজের হাট মেলে। এ হাটে উপজেলার বাগাট, কোরকদী, মেগচামী, বামুন্দী, জাহাপুর, বোয়ালিয়া, কামালদিয়া সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পেঁয়াজ চাষিরা হাটে পেঁয়াজ নিয়ে উপস্থিত হন। শুক্র ও সোমবার পেঁয়াজের আমদানি হয় অনেক বেশি। পেঁয়াজের উপস্থিতির কারণে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
গত বছরের তুলনায় ঠিক এ সময় পেঁয়াজের দর মোটামুটি। তবে পেঁয়াজ আমদানি প্রচুর। মৌসুমে প্রতি হাটে মধুখালী থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন আড়ৎদারের ঘর থেকে প্রায় ৯৫ হাজার মণ পেঁয়াজ রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারীরা খরিদ করে নিয়ে যায়। প্রতি মণ লাল তীর পেঁয়াজ ৯০০ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ ১১০০ টাকা পর্যন্ত পাইকাররা কিনছেন। যা খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা একাধিক কৃষকেরা বলেন, যে দামে বিক্রি করছি তাতে আমাদের কৃষি কাজ করে জীবন চালানো কষ্টকর।
যেখানে মণপ্রতি খরচ করেছি ১হাজার থেকে ১১‘শ টাকা তা পাচ্ছি না। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক কৃষক তাদের পেঁয়াজ নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। চরবাগাট গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ মৃধা বলেন, কৃষক পেঁয়াজের দাম পায়না। গতবছর পেঁয়াজে প্রায় ৫০হাজার টাকা লোকসান হয়। এ বছর আশা করে পেঁয়াজ চাষ করি এখন পর্যন্ত মুড়িকাটা পেঁয়াজে লোকসান আশা নেই তবে কৃষকের লাভ প্রয়োজন। তিনি জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে প্রায় ১৮৫০ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি শতাংশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় দুইমন। বাজারে বর্তমান দামে লোকসান না হলেও লাভ চোখে পড়ছে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার আলভীর রহমান জানান, চলতি ২০২২-২০২৩ মৌসুমে মধুখালীতে মোট মুড়িকাটা, দানা এবং হালিসহ সব মিলিয়ে ৩ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে মধুখালীতে মোট ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের আবাদ করা হয়। এবছর প্রায় ৫‘শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ বেশী হয়। চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ৫২ হাজার ৫‘শ ৮০ মেট্টিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে আশা করা হচ্ছে। তিনি আশা করেন এলসি না খুললে কৃষক পেঁয়াজে লাভবান হবে। না হলে এবারও কুষক লোকসানে পড়বে।
Leave a Reply