স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহা. মামুন আর রশিদকে (চশমা) হুমকি দিয়েছেন শ্রমিক লীগের এক নেতা। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়নের ঘোড়াদহ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
ওই শ্রমিক নেতা হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এখন থেকে আর প্রচার প্রচারণা করা যাবে না, ঘরে বসে নির্বাচন করতে হবে। নৌকা ছাড়া তোর চশমা প্রতীকের কোন প্রচার প্রচারণা করা যাবে না।’
আগামী ১৬ মার্চ ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে কৈজুরি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী যিনি চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মাহা. মামুন আর রশিদ। তাকে এই হুমকি দিয়েছেন সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
মুহা. মামুন আর রশিদ আজ রবিবার রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১ মার্চ থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফকির মো. সিদ্দিকুর রহমান এর নেতাকর্মীরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মীদের ভোট চাওয়া ও পোস্টার সাটানো কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। গত শনিবর (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়নের ঘোড়াদহ বাজারে আমার নির্বাচনী অফিসে আমার কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করাকালীন সময়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থক শ্রমিক লীগ নেতা বেতবাড়িয়া গ্রামের সেলিম শেখ আরও ২০/২৫জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন আমার ঘোড়াদহের অফিসের সামনে এসে আমাকেসহ আমার কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং অফিস বন্ধ করে এক মিনিটের মধ্যে অফিস বন্ধ করে চলে যেতে হুমকি দিয়ে বলেন, এখন থেকে আর প্রচার প্রচারণা করা যাবে না, ঘরে বসে নির্বাচন করতে হবে। নৌকা ছাড়া তোর চশমা প্রতীকের কোন প্রচার প্রচারণা করা যাবে না।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, হুমকি ধমকি দেওয়া সংক্রান্ত মামুনের একটি মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘোড়াদহ এলাকায় পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, এ অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। নৌকা ও চশমার দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ওই এলাকায় রাস্তার এপার আর ওপার। ওই সময় আমি অফিসে ছিলাম, মামুনও অফিসে ছিল। তখন দুই পক্ষের সমর্থকরাই শ্লোগান দিয়েছে। কোন হুমকি ধামকীর ঘটনা ঘটেনি।
সেলিম শেখ আরও বলেন, কৈজুরি আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী অথচ বিএনপি করে মামুনসহ মোট তিনজন প্রার্থী। একারনে আমরা সুবিধাজনক অবস্থায় আছি। এই ভালো অবস্থা খারাপ করার জন্য মামুন এসব অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মো. নুরুল আমীন বলেন, মামুন আর রশিদের লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। এব্যাপারে তদন্ত করে তথ্য প্রমাণ যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #
Leave a Reply